ডিমের খোসাকে কীভাবে- সকালের নাস্তায় বেশিরভাগ সময় ডিম খেয়ে থাকি আমরা। ডিমে খুব সহজেই প্রোটিন পাওয়া যায়। শিশুরাও অন্যান্য খাবারের চেয়ে ডিম বা ডিম দিয়ে তৈরি খাবারই বেশি পছন্দ করে। শুধু খাদ্য হিসেবেই নয়, রূপচর্চা সহায়ক উপাদান হিসেবেও প্রত্যেক গৃহস্থের ঘরে ডিম থাকে।
ডিম দিয়ে তৈরি নানা খাবারের কথা তো আমরা জানি। কিন্তু ডিমের খোসাও যে নানারকম প্রয়োজনে ব্যবহার হয়, তা কি আমরা জানি? ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও কোলাজেন। এই সব যৌগ শরীরের নানা ব্যাধি, মূলত, ব্যথা-বেদনা সরাতে কাজে আসে।
আসুন জেনে নিন, ডিমের খোসাকে কীভাবে আপনার কাজে লাগাবেন।
বাত বা গাঁটের ব্যথা
বাত বা গাঁটের ব্যথা কমিয়ে আরাম দেয় ডিমের খোসা। আপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দুই দিন রেখে দিন। গলে মিশে যাবে খোসা। এই মিশ্রণ লাগান ব্যথার জায়গায়। ব্যথা কমে যাবে এবং আরাম পাবেন।
ত্বক পরিচর্যা
ত্বক পরিচর্যাতেও ডিমের খোসা খুব কার্যকর। ডিমের সাদা অংশে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। আপনার দরকারি ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে যাবে। এবার তা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। মুখে পুরনো দাগ বা ব্রণের সমস্যা থাকলে এই প্যাক সহজ সমাধান।
পোকার আক্রমণ
ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। বা়ড়ির বাগানে বা কোনও গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচবে গাছ।
পোড়া দাগ
বাসনের পোড়া দাগ দূর করতেও ডিমকে কাজে লাগান। বাসন ধোয়া সাবানের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। পোড়া দাগ গায়েব হবে সহজে।
চা বা কফি
ডিম ভেঙে তার খোসা ধুয়ে বড় বড় টুকরো করে তা ছড়িয়ে দিন চা বা কফিতে। তারপর আরও একবার ছেঁকে নিন চা। ডিমের খোসার হায়ালুরোনিক অ্যাসিড টেনে নেবে তেতো ভাব।
বিয়ের প্রথম রাতে প্রত্যেক পুরুষই আশা করেন যে ৭টি জিনিস
বিয়ের প্রথম রাত, অর্থাৎ ফুলশয্যার রাত হচ্ছে যে কোন দম্পতির জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ রাত। বলাই বাহুল্য যে এই রাত নিয়ে উভয়েরই অনেক স্বপ্ন, অনেক চাওয়া-পাওয়া থাকে। নারী না হয় একবুক আশা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলেন স্বামীর জীবনে, কিন্তু স্বামী কী আশা করেন? চলুন, জেনে নিন এমন ৭টি বিষয় যা ফুলশয্যার রাতে প্রত্যেক পুরুষই আশা করেন নিজের স্ত্রী তরফ থেকে!
১) স্ত্রীকে দেখা যাবে অপ্সরার মতন
জীবনে খুব বেশি মানুষ বারবার বিয়ে করেন না, বিশেষ রাতটি বারবার ফিরে আসে না জীবনে। এবং প্রত্যেক পুরুষই স্ত্রীকে সেদিন নিজের স্বপ্ন কন্যা রূপে দেখতে চান। আশা করে থাকেন যে স্ত্রীকে দেখাবে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর রমনীর মত।
২) স্ত্রীর জীবনে তিনিই প্রথম পুরুষ
অধিকাংশ পুরুষ আজও আশা করেন যে স্ত্রী ভার্জিন হবে। অর্থাৎ তিনিই হবেন প্রথম পুরুষ যার সাথে স্ত্রী প্রথম শারীরিক সম্পর্ক করেছে।
৩) একটু লজ্জা, একটু ছলকলা
লজ্জা নারীর ভূষণ, এই কথাটি ফুলশয্যার রাতেই যেন সবচাইতে বড় সত্য। বিয়ে প্রেমের হোক বা পারিবারিক, প্রত্যেক পুরুষই এই বিশেষ রাতে আশা করে থাকেন যে স্ত্রী একটু লজ্জা পাবেন। একটু প্রেমের ছলকলা খেলবেন, আর তবেই ধরা দেবেন প্রেমের বন্ধনে।
৪) সমৃদ্ধ জীবনের আশ্বাস
দুজনে একত্রে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন, বিয়ের এই প্রথম রাতটি তাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পরস্পরকে আশ্বাস ও প্রতিজ্ঞা করার জন্য আদর্শ সময়। স্বামীও আশা করেন যে স্ত্রী তাঁকে একটু সুখের সংসারের আশ্বাস দেবেন।
৫) নিজের প্রশংসা
নিজের প্রশংসা শুনতে কে না ভালোবাসে? আর পুরুষেরা তো স্ত্রীর মুখে নিজের প্রশংসা শুনতে সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন। বিয়ের প্রথম রাতেই এই প্রত্যাশা থাকে সবচাইতে বেশি।
৬) শ্বশুর বাড়ির প্রাপ্তি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ
বিয়েতে কী হলো, কী হলো না, কী পেলেন, কী পেলেন না ইত্যাদি নিয়ে হতাশা বা ক্ষোভ ব্যক্ত না করে যা পেয়েছেন সেটা নিয়েই সন্তুষ্টি প্রকাশ করুন। দেখবেন স্বামীর চোখে আপনার সম্মান হয়ে উঠেছে আকাশচুম্বী।
৭) নিজের ভার স্বামীর হাতে ছেড়ে দেয়া
এটা সেই বিশেষ রাত, যে রাতে স্ত্রী নিজেকে অর্পণ করেন স্বামীর জীবনে। নিজের দায়িত্ব ছেড়ে দেন স্বামীর হাতে। আর আপনি যতই স্বাধীনচেতা নারী হয়ে থাকুন না কেন, আপনার স্বামী কিন্তু সারা জীবনই চাইবেন যে আপনি তাঁকে বিশ্বাস ও ভরসা করুন। আর এই কাজটি বিয়ের রাতে করলে খুশি হয়ে ওঠেন সকল পুরুষই।